আরও একবার তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। নেপথ্যে কসবার এক ল'কলেজের আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের তীর দাপুটে টিএমসিপি নেতার দিকে। যদিও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তাতে অস্বস্তি বেড়েছে দলের। কারণ দলের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছবি রয়েছে অভিযুক্তের। এবার বিতর্কের মাঝে মুখ খুললেন তৃণাঙ্কুর। সাংবাদিক বৈঠক করে দিলেন তাঁর ব্যাখ্যা। তৃণাঙ্কুর স্পষ্ট বললেন, "অভিযুক্ত সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদে নেই।" সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণাঙ্কুর বলেন, "জেলা সভাপতি যে কমিটি করেছিলেন, সেই কমিটিতে এই ছেলেটার নাম নেই। আমরা প্রত্যেক সময়েই ভাল কাজ, গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা, কেমনভাবে কাজ এগোচ্ছে, সেই দেখে সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু তার মানে কিন্তু এই নয়, যে সে কারোর ফলোয়ার হতে পারবে না।" কিন্তু দলের সমর্থক যে কেউ হতে পারেন, তাঁকে তিনি বারণ করতে পারেন না বলেও এদিন জানিয়ে দিলেন তৃণাঙ্কুর। তিনি বলেন, "আমাদের দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শাখা সংগঠনের একটি সভাপতি। এই তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের কোনও ক্ষমতা নেই, কাউকে বলা যে তুমি দল করবে না বা তুমি কাউকে ভালবাসবে না। এটা আমার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। আমি এমন কাউকে নেতা করব না, যে আমাদের দলের পতাকাকে সঠিকভাবে বহন করতে পারবে না।"
অথচ ধৃতের সম্পর্কে পুলিশ জানতে পেরেছে কলেজেরই ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি ওই আইন কলেজেরই প্রাক্তন পড়ুয়া। বর্তমানে একজন অস্থায়ী কর্মী। এমনকি, কলেজের ছাত্র পরিষদের রাশও তাঁর হাতে।
কসবায় ল'কলেজের ভিতরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বুধবার, ২৫ জুন এই ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই গ্রেফতার করা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন