ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। সেই মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। আজ, সেই মামলায় পরেশ পালকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে নোটিস পেয়েছিলেন আরও দুই তৃণমূল কাউন্সিলরে। কিন্তু, শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেননি পরেশ। হাজির হননি কাউন্সিলরও। এবার শেষ সুযোগ দেওয়া হল বিধায়ককে। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এদিন সাফ বলেন, এটা মামলায় একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড্। এখনও পর্যন্ত অভিজিৎ খুনের মামলায় ৩৮ জন অভিযুক্ত বিচারের আওতায় আছে। অভিযুক্তের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, "১৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিবিআই যে পদক্ষেপ করতে চাইছে, সেটা নিয়ে আপনারা কিছু বলতে চাইছেন? আপনারা কী চাইছেন?" বিশেষ সরকারি আইনজীবী বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হোক।'
বিচারক উল্লেখ করেন, এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা কিন্তু পালিয়ে বেড়াচ্ছে না। এরপর তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনি কি ১৮ জনকে গ্রেফতারের জন্য কোনও চেষ্টা করেছিলেন? গত কয়েক বছরে তদন্তে আপনাদের কি মনে হয়েছিল যে এরা পালাতে পারে?" উত্তরে তদন্তকারী অফিসার বলেন, "না। আগের তদন্তকারী অফিসার যখন এদের তলব করেছিলেন, তখন তারা হাজিরা দিয়েছিল।"
এদিকে, এদিন সিবিআই-কেও ধমক দেন বিচারক বলেন, "আমি চার্জশিট পড়েছি। যে তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন, সেগুলি তো আপনারা ২ বছর আগেই পেয়েছিলেন। এটা কি মজা হচ্ছে? আপনাদের জন্য আগে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা আটকে আছে। পরবর্তী তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানেই আপনারা খামখেয়ালিপনা করতে পারেন না। কী করছিলেন আপনারা? এখন এক মাস সময় চাইছেন চার্জশিটের কপি দেওয়ার জন্য?"
এরপরই বিচারক জানিয়ে দেন, এখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কোনও প্রয়োজন নেই। ১৮ জনকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সমন পৌঁছে দিতে হবে তদন্তকারী অফিসারকে। আগামী ১৮ জুলাই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। অভিযুক্তরা হাজিরা দিলে, তারপর তারা জামিন পাবেন কি না সেটা দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অর্থাৎ ১৮ তারিখে হাজিরা দিতেই হবে পরেশ পালকে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন