মহারাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলের কাছে হঠাৎই ভেসে এল রহস্যজনক এক নৌকা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নৌকাটি অন্য কোনও দেশ থেকে এসেছে। তবে কোন দেশ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রবিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার রেভদণ্ড
কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর, গত ২৫ জুন ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর কলেজের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে বসেই মদ্যপান করে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সঙ্গী জইব আহমেদ ও প্রমীত মুখোপাধ্যায়। এর সঙ্গে, মদ্যপানের পর ই এম বাইপাসের একটি ধাবায় গিয়ে খাওয়াদাওয়াও সারে ওই তিন জন। এর পর যে যার বাড়িতে চলে যায় তিন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, 'ঘটনার পর গার্ড রুমে বসেই মদ্যপান করে তিন জন। এর পর নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাউকে কিছু না বলার জন্য শাসিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায় তারা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছ, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ঘটনার পরের দিন ২৬ জুন দক্ষিণ কলকাতায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ফোনে যোগাযোগ করে মনোজিৎ। যদিও পরিস্থিতি আঁচ করে সেই প্রভাবশালী মনোজিতকে সাহায্য করতে রাজি হননি। এর পর নিজের আরও কয়েকজন পরিচিত প্রভাবশালীর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চালায় মনোজিৎ। ঘটনার পরের দিন সকাল থেকে রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, ফার্ন রোড, বালিগঞ্জ স্টেশন রোড চত্বরেও প্রায় সারাদিন ঘোরাঘুরি করে মনোজিৎ। একবার সে কড়েয়া থানার কাছেও যায়। মনোজিতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের আরও দাবি, ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে মনোজিৎ, জইব এবং প্রমীথের মধ্যে ফোনে ঘনঘন কথা হয়েছে। যা থেকে তদন্তকারীরা এক রকম নিশ্চিত, ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন