রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আগেই। এবার সরাসরি আদালতের দরজায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী তল্লাশি চালায়।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, ওয়ারেন্ট ছাড়া একজন বিধায়কের কার্যালয় ও বাড়িতে কীভাবে তল্লাশি চালাতে পারে পুলিশ। ওই বাড়িটি শুধুমাত্র শুভেন্দুর কার্যালয় নায়, তাঁর বাড়িও। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চাওয়া হল হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।
কী হয়েছে আসলে? নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাথ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া পাল ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এমনই এক অভিযোগে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুকের এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিস বাহিনী সোমবার নন্দীগ্রামে মহুয়া পালের বাড়িতে যায়। মহুয়া পালকে তাঁর বাড়িতে না পেয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিশ আসে। অভিযোগ কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী। এর প্রতিবাদ করেন কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। এনিয়ে পুলিশের দাবি, ওটি শুভেন্দুর কার্যালয় বলে তাঁরা জানতেন না। জানলে ঢুকতেন না।