এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি চাকরি। এর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
লাল সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে; তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে হবে ৫ দিন
কলকাতায় আজ তাপপ্রবাহ। আগামী ৫ দিনও দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম দিন-ই দক্ষিণঙ্গের জন্য লাল সতর্কতা। আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
ফের হেলিকপ্টারে বিপত্তি; বসতে গিয়ে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়
আবার চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। এ বার দুর্ঘটনা দুর্গাপুরে। শনিবার আসানসোলে লোকসভা ভোটের দু-টি প্রচারসভা রয়েছে মমতার। দুর্গাপুর থেকে হেলিকপ্টারে সেখানেই যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'মন্ত্রিসভা জানত না'; অবৈধ নিয়োগ কার্যত স্বীকার করে নিল রাজ্য
জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার নিয়োগ মামলায় এবার আরও বিপাকে রাজ্য সরকার। রাজ্য ও জিটিএ ওই নিয়োগ প্রসঙ্গে যা বলছে তা পরস্পর বিরোধী। আদালতে রাজ্যে অবৈধ নিয়োগের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে। ফলে, এই নিয়োগ নিয়েও আরও বিপাকে পড়তে পারে রাজ্য।
রাজ্য দাবি করেছে, মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই হয়েছে ওই নিয়োগ। অন্যদিকে, জিটিএ-র দাবি, মন্ত্রিসভা সবটাই জানত। ফলে দু-দিকের কথা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাচ্ছে। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এছাড়াও রয়েছে তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম।
রাজসাক্ষী হতে চান শাহজাহানের ভাই?
সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই এর কাছে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে শাহজাহানের ভাই আলমগীর। আর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই নাকি শুক্রবার সন্দেশখালিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে বিকেলের দিকে সেখানে যায় NSG। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা তল্লাশিতে মেলে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজসাক্ষী হতে চান আলমগীর। আর সে কারণেই নাকি সিবিআইকে নানা তথ্য দিচ্ছেন তিনি।
শেখ শাহজাহান ছিলেন সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর নির্দেশ মতোই চলত গোটা এলাকা।
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
অস্ত্র ভাণ্ডারের হদিশ! সন্দেশখালিতে NSG
লোকসভা ভোটে মাঝে ফের নজরে সন্দেশখালি। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এবার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই। এলাকায় পৌঁছল NSG, বম্ব স্কোয়াড। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
২ মে মাধ্যমিকের রেজাল্ট!
অবশেষে সামনে এল মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের তারিখ।
২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলেছিল ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৪-এ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখের সামান্য বেশি। গত সোমবারই অবশ্য ফল প্রকাশের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
SSC কাণ্ডের মধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!
এসএসসি দুর্নীতিতে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে এখনও চর্চা চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক নিয়োগে সুখবর। ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮৬৭ শূন্যপদে ২ মাসের মধ্যে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা-র।
মামলাকারীদের নথি যাচাইয়ের পর প্রস্তুত করতে হবে তালিকা। সেই তালিকা থেকেই দিতে হবে চাকরি। ১৫ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন ৮৬৭ জন। বাম আমলে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে চাকরি মিলবে এবার। একাধিক আইনি জটিলতায় নিয়োগ সম্পূর্ণ করা যায়নি। অবশেষে সেই নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২৫ হাজার চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দেবে নবান্ন!
নিয়োগে অনিয়ম। এর জেরেই চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। এবার তাঁদের পাশে রাজ্য! চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দেবে রাজ্য। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। যা শুনে আপাতত স্বস্তিতে চাকরিহারারা।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। শিক্ষাদপ্তরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলাটি আপাতত আদালতের বিচারাধীন। সূত্রের খবর, মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীন চাকরিহারাদের বেতন দেবে রাজ্য সরকার।
গত সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চের তরফে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
SSC কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন!
এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায় বেরনোর পরই এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এই ইস্যুতে জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি পথে চাকরি পাওয়া পাঁচ হাজার জনের তথ্য ছিল। কিন্তু, তার জন্য বাকি ১৯ হাজার জনের চাকরি কেন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল? সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে এসএসসি।
দলীয় কর্মীকে ইডিয়ট বলে তিরস্কার; বিতর্কে শতাব্দী রায়
প্রচারে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। উত্তেজিত হয়ে দলীয় কর্মীকে ইডিয়েট বললেন বিদায়ী সংসাদ। বুধবার, সকালে দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি।
৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে বীরভূমে। জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে শাসক দল। দীর্ঘদিন ধরেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পড়ে রয়েছেন শতাব্দী। বুধবার, তিনি খাগেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ সারছিলেন। সেখানে এক তৃণমূল কর্মীর বিভিন্ন প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালিজুড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে, সেই সঙ্গে জলের ট্যাঙ্কের বরাদ্দ হওয়া টাকা ফেরত গেল কেন-সহ একাধিক প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। সেই প্রশ্নতেই মেজাজ হারান তৃণমূল প্রার্থী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ইডিয়টের মতো কথা বলছেন। আপনি একটা ইডিয়ট।" যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ফোনের সেই কন্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের! আদালতে বিস্ফোরক তথ্য দিল ইডি
নিয়োগ মামলা শুরু হওয়ার পর 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আসে। বেহালার বাসিন্দা সেই সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বর নিয়ে চলেছে অনেক টালবাহানা। কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। অবশেষে সামনে এসেছে সেই নমুনার ফরেনসিক রিপোর্ট। তারপরই নিয়োগ দুর্নীতির কোনও বড় সূত্র তদন্তকারীরা খুঁজে পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সেই রিপোর্টের বিষয়েই এজলাসে কথা বললেন ইডি-র আইনজীবী।লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ইডি ওই ফরেনসিক রিপোর্টের বিষয়ে জানান এদিন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চেয়েছিলেন ফরেন্সিক রিপোর্ট এসেছে কি না, এলে সেটা নিয়ে কী করা হয়েছে। ইডি-র আইনজীবী বলেন, 'সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা আমাদের স্বপক্ষেই এসেছে।'
উল্লেখ্য, সুজয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি অডিয়ো ক্লিপ পেয়েছিল ইডি। সেখানে শোনা যায়, রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে টেলিফোনিক কথোপকথনে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেল। সেই কন্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের বলে দাবি করে ইডি। এরপর থেকেই কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তৎপর হয় ইডি।গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই 'কাকু' অসুস্থ থাকায় বারবার বাধা পেতে হয়েছিল ইডি-কে। এসএসকেএম-এ অফিসাররা গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তৎপরতার সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে গিয়ে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কয়েকদিন আগেই সেই রিপোর্ট এসেছে ইডি-র হাতে।
২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে ভুল থাকার অভিযোগ; জানতে বিশেষ কমিটি গঠন হাই কোর্টের
নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। ২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে আদৌ ভুল ছিল? জানতে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এক মাসের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানান; প্রধানশিক্ষকদের নির্দেশ
এসএসসি-র ২০১৬ সালের শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের প্যানেল কলকাতা হাই কোর্ট পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ায় অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের একটা বড় অংশ। তাই ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানার কাজ শুরু হল। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা (ডিআই) স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে।
যদিও শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, যে হেতু এসএসসি ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এখনই তাদের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যোগদান সংক্রান্ত তথ্য প্রয়োজন হচ্ছে না। কিন্তু শিক্ষা দফতরের আরও একটি সূত্র জানাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কর্মহীন হয়ে যাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যাবতীয় তথ্য জেলার ডিআইরা সংগ্রহ করে রাখছেন। প্রয়োজনে এই সমস্ত তথ্য কাজে লাগানো হবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ না দেওয়া হলেও, এই তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিআইদের ভূমিকার পিছনে মৌন সম্মতি রয়েছে দফতরের। যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা দফতরের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়। আপাতত এসএসসি-র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার দিকেই নজর রাখছে শিক্ষা দফতর। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দিতে নারাজ দফতরের শীর্ষকর্তারা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
কী করে চলবে ক্লাস? একাধিক প্রশ্ন
কারা স্কুলে থাকবেন? কারাই বা পড়াবেন? পঠনপাঠন ছাড়া স্কুলের অন্যান্য কাজকর্মই বা চলবে কী করে? সোমবার এসএসসি মামলায় হাই কোর্টের রায়ের পর স্কুলে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পড়ুয়া ও অভিভাবক মহলে এই প্রশ্নগুলিই মাথাচাড়া দিচ্ছে। ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যে সব স্কুল নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে প্রশ্নগুলি আরও প্রকট। এদিন থেকে সরকার অধীনস্থ স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে।
ফের পরীক্ষয় বসতে হবে প্রত্যেক চাকরিহারাকেই! পড়ুন
এসএসসির চাকরি ফিরে পেতে প্রত্যেক চাকরিহারাকেই নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে? না কি ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমেই পূরণ করা হবে হাই কোর্টের নির্দেশে খালি হওয়া এসএসসির শূন্যপদগুলি। সোমবারের রায়ের পরে এই নিয়েই শুরু হয়েছে নানা ব্যাখ্যা। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশের মতে, এসএসসির গ্ৰুপ-ডি, গ্ৰুপ-সি এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে সব চাকরিহারাকেই আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। অর্থাৎ, তেমনটা হলে নতুন করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে থেকে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ-সহ সব পদ্ধতি মেনেই নতুন করে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদিও এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে আইনজীবীদের একাংশের। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে।
নিয়ম মেনে এসএসসি-কে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও সেই ‘নিয়মের’ ব্যাখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে। একাংশের মতে হাই কোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ-সহ পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়াই নতুন করে করতে হবে। অন্য পক্ষের মতে, ২৮২ পাতার কোথাও গোটা প্রক্রিয়া নতুন করে আয়োজনের কথা বলা নেই। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর স্বীকার করে নিচ্ছেন, ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের আসল কপি বা 'মিরর ইমেজ' পাওয়া না-গেলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
ভাঙড়ে নওশাদের সভায় চেয়ারই ভরাতে পারল না আইএসএফ!
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ভাঙড়ে প্রথম সভা আইএসএফের। এদিনের সভা ঘিরে বিরাট ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁবু খাটানো হয়েছিল। চেয়ার রাখা হয়েছিল সাজিয়ে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু এ কী অবস্থা! বসার আসনই পুরো ভর্তি হল না নওশাদদের সভায়। ফাঁকা পরে থাকতে দেখা গেল অনেক চেয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকায় আইএসএফের সভায় ধরা পড়ল এমনই দৃশ্য। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। নুর আলম খানকে প্রার্থী করেছে নওশাদদের দল।
কলকাতা ফের ৪০ ছাড়াবে; শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে
দু-দিনের স্বস্তি আবার বদলে যাবে অস্বস্তিতে! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী তিন দিনে দক্ষিণের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল!'স্কুলে কি বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা পড়াবে?' এসএসসি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী
প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তার বিরোধিতায় রাজ্য সরকার যতদূর সম্ভব আইনি লড়াই চালাবে বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, এত শিক্ষকের একসঙ্গে চাকরি চলে গেলে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কীভাবে চলবে?মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন?
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি রায়দান সম্পর্কে বলছি। বিচারপতির নাম বলছি না, প্রয়োজন পড়ে না৷ বলতে পারত, এখানে ভুল আছে সংশোধন করে দিন। সবটা তো আমি করি না। শিক্ষা দফতর, প্রাইমারি বোর্ড, মাধ্যমিক বোর্ড, এসএসসি, কলেজ সার্ভিস সব আলাদা আলাদা। একতরফা রায় দিয়ে একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন।
সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে SSC-র রায়কে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর!
নির্বাচনের মুখে চাকরি বাতিল নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেই জানালেন তিনি।
গত শনিবার বোমা ফাটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা সোমবার বলেন,"বোমা ফাটাবেন বোমা। কী বোমা? ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বোমা। আমরা লড়ে যাব। লড়াই করব। চিন্তা করবেন না। জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি। লড়ব। টোটাল রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মানে দেড়-দুলক্ষ পরিবার। বলছে বেতন ফেরত দিতে হবে। ৭-৮ বছর যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদের ৪ সপ্তাহে বেতন ফেরত দিতে বলছে। এটা সম্ভব?"