ভারতের উধমপুর, পাঠানকোট এবং পঞ্জাবের ভাটিন্ডার বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিংকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। বিক্রম দাবি করেন, গত এক দিনে বিনা প্ররোচনায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ভারতের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও ড্রোন ,হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। তিনি বলেন, "ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর ২৬টি জায়গায় রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।"
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, "ভারতের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর আগ্রাসী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে পাক শিবির। ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করা হচ্ছে বার বার। শ্রীনগর থেকে ছালিয়া ২৬টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। উধমপুর, আদমপুর, পাঠানকোট এবং ভাটিন্ডার বিমানঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়েছে। এই বিমানঘাঁটির সামান্য ক্ষতিও হয়েছে।" এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তান ভারতের শ্রীনগর, অবন্তীপুরা এবং উধমপুরের সেনা হাসপাতাল এবং স্কুল লক্ষ্য করেও হামলা চালিছে বলে জানান উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং।
কুরেশি জানান, পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় ড্রোন, মিসাইল ও গোলাবর্ষণ করে নাগারে আক্রমণ করে চলেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের উপরে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কুরেশি বলেন, "পাঞ্জাব এয়ারবেসকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। এল ও সি-র ওপার থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে। আদমপুর, পাঠানকোট, উধমপুর এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা করেছিল। রাত ১:৪০ মিনিটে পাঞ্জাব এয়ারবেসে চেষ্টা করে। ৩৬ জায়গাায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। আর্টিলারি গান ও ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা। ক্রমশ ওদের সেনার ডিপ্লয়মেন্ট বাড়ছে। গতিবিধি লুকোতে লাহোরে আকাশপথে যাত্রিবাহী বিমান ব্যবহার করেছে।" সূত্রের খবর, পাকিস্থানের হেভি শেলিংয়ের জেরে রাজৌরি সেক্টরেই আহত ৯ সাধারণ মানুষ। যার মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।