ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। এবার উপপুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা পূর্ণিমা কান্দুর। আজ, বৃহস্পতিবারই পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তিনি জানান, "নৈতিক কারণেই এই ইস্তফা।" ঝালদা পুরসভা নিয়ে আইনি টানাপোড়েন চলছিলই। তার মাঝে কয়েকদিন আগে পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়-সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
নিয়োগে ফের বেনিয়ম, দমকল বিভাগের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্টে
এবার দমকল বিভাগের চাকরিতেও নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া। বীরভূমে অক্সিলারি ফায়ার অপারেটর পদে ২৫ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিল করেছে বলে জানা গিয়েছে।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সকলের সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে; কড়া নির্দেশ আদালতের
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ইডি আধিকারিকের ডাউনলোড করা ১৬ ফাইলের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছে ইডি। জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতে ইডি আধিকারিকদের বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চাইছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ ইডি-র। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইডি, এই ১৬ টি ফাইল তদন্তের কোথাও ব্যবহার করবে না তারা।
তবে, এদিন আরও উল্লেখযোগ্য কিছু নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও, সমস্ত ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান (লিস্ট অফ অ্যাসেটস) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অর্থাৎ যদি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে ইডিকে।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে ইডি যা পেয়েছে, সঙ্গে কিছু সিনেমা জগতের কিছু ব্যক্তির যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এদেরও সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে নির্দেশ ইডিকে। কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, ইডি। যেমনটা তারা করছে।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
শুভেন্দুর দেহরক্ষী মৃত্যু; এতদিন পর FIR কেন? আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য
শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় হাই কোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন, এতদিন পর এফআইআর কেন? বুধবার হাই কোর্টে মামলাটি উঠেছিল। সওয়ালের সময় নুসরত জাহানের ইডি হাজিরা নিয়েও বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দেন সরকারি আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে ছিল মামলার শুনানি।
'ED-CBI আমার পার্টির লোককে যেদিন ধরবে, খুশি হব'; বিস্ফোরক রূপা
এবারের বিধানসভা ভোটে হেরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতা-মন্ত্রীদের বারবার হেনস্তা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমন অভিযোগ বরাবর সরব তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। এবার বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিডিওকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের 'চক্রান্তে'র বিরুদ্ধে সোচ্চার হল ঘাসফুল শিবির।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে পৌঁছে যান অভিষেক। ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে যাওয়া আটকাতেই অভিষেককে ওই দিনই ইডি দিয়ে তলব করে কেন্দ্র সরকার হেনস্তা করতে চাইছে বলে তোপ দাগে তৃণমূল।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলে দেন, "যেদিন ইডি কিংবা সিবিআই আমার পার্টির একটি লোককে ধরবে, যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে বা ছিল। আমি ভীষণ খুশি হব।" X হ্যান্ডেলে সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু তুলে ধরেই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। লিখেছে, বিজেপির হেভিওয়েট নেত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের দলের উপর থেকে পর্দাটা সরিয়ে দিয়েছেন। তিনিও মনে করেন, বিজেপির যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার করা না হলেও ইডি-সিবিআই অন্তত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক।
অভিষেককে ইডির তলবের দিনই এই ভিডিওটি পোস্ট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
টেট ২০২৩; পরীক্ষার দিনক্ষণ জানালেন বোর্ড সভাপতি
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই গৌতম পাল বলেছিলেন, 'প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে।' সেই মতো ২০২২ সালে ১১ ডিসেম্বর টেট নিয়েছিল বোর্ড। এবারও টেট (TET 2023) নেওয়া হবে। আজ, বুধবার সভাপতি গৌতম পাল জানান, 'আগামী ১০ ডিসেম্বর এবারের টেট নেওয়া হবে।' এদিন পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আগামী টেট-এর দিনক্ষণ ও পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে জানান।
এই পুরো প্রক্রিয়াই হবে অনলাইনে। টেট দুর্নীতি সামনে আসার পরই একাধিক বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পর্ষদকে। 'অযোগ্য' দের টাকার বিনিময়ে চাকরি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও সামনে আসে। সিবিআই-ইডি, এই দুর্নীতির তদন্ত করছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এই দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন গৌতম পাল।
অভিষেকের সামনে কড়া প্রশ্নপত্র; খবর ইডি সূত্রে
ফের ইডি দফতরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটার পরপরই ইডি দফতরে ঢোকেন অভিষেক। সূত্রের খবর, দুটি দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিষেককে। সর্বপ্রথম ইডির জিজ্ঞাসাবাদে তাপস মণ্ডলের বয়ানে বলেছিলেন, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো মানিক ভট্টাচার্যের কাছে যেতেন। যেখানে ৩২৬ জনের লিস্ট দেওয়া হয়েছিল। তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে কুন্তল ঘোষ টাকা তুলেছিল, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসে।
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
হাতে ফাইল, নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরত
সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় ইডির তলবে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। মঙ্গলবার ফাইলপত্র নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তিনি। ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টার সময় তলব করে ইডি। নুসরত সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছে যান। হাতে নথি নিয়ে তাঁকে ইডির দফতরে ঢুকতে দেখা যায়।
অভিযোগ তুলে প্রথমে কলকাতা পুলিসের দ্বারস্থ, এরপর ইডির দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীরা। তদন্তভার নেওয়ার পর ইডি সূত্রে দাবি, একটি মোটা অঙ্কের টাকা গিয়েছিল নুসরত জাহানের কাছে। ঘুর পথে টাকা নেওয়ার ছক, মনে করছেন তদন্তকারীরা। দাবি করা হয়েছে ইডি সূত্রে। যদিও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন তিনি কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মাত্র। সেই টাকা তিনি সুদে আসলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন।
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
'ইডি-সিবিআই আসবে ভাবলে বিজেপিতে যোগ দিন', বিজেপি নেতা অনুপমের মন্তব্যে বিতর্ক
ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির ভূমিকা ওয়াশিং মেশিনের মতো বলে বারবার দাবি করেছে তৃণমূলের একটা বড় অংশ। সেই দাবিতেই যেন সিলমোহর দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
'ওকে বারবার বিরক্ত করা হচ্ছে'; অভিষেককে ফের ইডি তলব নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
INDIA জোটের কো-অর্ডিনেশন বৈঠকের প্রথম বৈঠকের দিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বুধবার, ১৩ তারিখ তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে সেই নোটিস পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। '৫৬ ইঞ্চির ছাতি'র ভীরুতা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন।
প্রতিশ্রুতি পূরণ; মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি
কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি। সোমবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বানারহাটের কিছু অংশ ও ধূপগুড়ি নিয়ে তৈরি হচ্ছে আলাদা মহকুমা।
পর্যটন থেকে সরানো হল বাবুলকে; দায়িত্ব পেলেন ইন্দ্রনীল
রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ফের বেশকিছু রদবদল। এবার পর্যটন দফতর থেকে সরানো হল বাবুল সুপ্রিয়কে। এর থেকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর অচিরাচরিত শক্তি উৎস দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল বাবুলকে। এর সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বও রয়েছে বাবুলের হাতে। অন্যদিকে, বাবুলের পর্যটন দফতর দেওয়া হয়েছে ইন্দ্রনীল সেনকে। পাশাপাশি, আরও বেশ কিছু রদবদল এদিন হয়েছে। অরূপ রায় সমবায় দফতর থেকে সরিয়ে তাঁকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে সমবায় দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের 'কত' কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত? পড়ুন
গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলবন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত এক বছর চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে এক সময়ের বীরভূমের তৃণমূলের দাপুটে নেতার।
শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে; বঙ্গে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দল
লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে পারে মোদী সরকার। আগেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মুখেও একই আশঙ্কা-র কথা শোনা গিয়েছে।
অবৈধ বাজি কারখানার শ্রমিকদের লাইসেন্স রাজ্যের!
বঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করে আতসবাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। কিন্তু এই সব বেআইনি বাজি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শ্রমিকরা আচমকাই যাতে পুজোর আগে কর্মহীন হয়ে না পড়েন, সে কারণে তাঁদের সবুজ বাজি তৈরি এবং বিক্রির একমাসের অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়ার ভাবনা রাজ্যের। ইতিমধ্যে ঠিক হয়েছে, এই এক মাসের জন্য জেলায় জেলায় একটা বড় খোলা জায়গা ঠিক করে দেওয়া হবে।
নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি। সেখান থেকে বেরিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, "রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, জমি থাকা কোনও ব্যবসায়ী যদি ক্লাস্টার তৈরি করতে চান, তবে তাঁর খরচের ৯০ শতাংশই রাজ্য সরকার দেবে। এর পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের মূলস্রোতে ফেরাতে কালীপুজোর আগে বাজি বানানো এবং বিক্রি করতে একমাসের জন্য একটা টেম্পোরারি লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
কর্মজীবনে ৫ বছর গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতা বাধ্যতামূলক; রাজ্যের নয়া শিক্ষা নীতিতে বিরাট পরিবর্তন
ইতিমধ্যে নয়া শিক্ষা নীতি প্রকাশ করল রাজ্য। আজ থেকেই এই নীতি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। নয়া এই নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাপক বদল ঘটবে। এর পাশাপাশি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মজীবনেও বদল আনার কথা ুল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এ বার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মজীবনের পাঁচ বছর অন্তত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতা করতে হবে। এর সঙ্গে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আসছে নয়া প্রমোশন নীত-ও।
এ দিকে, স্কুলস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম দু-বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষা নীতিতে। ত্রি-ভাষা নীতি অর্থাৎ তিনটি ভাষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি মানার পরিকল্পনা নেই রাজ্যের। বিধানসভাতেও সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে রাজ্যের শিক্ষানীতি ঢেলে সাজানো হবে।
নয়া এই নীতিতে মাতৃভাষা পড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকেই বাংলা ভাষা সম্পর্কে পড়ুয়াদের ধারণা তৈরি করতে হবে, শিক্ষা নীতিতে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট। নয়া এই নীতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মজীবনের পাঁচ বছর অন্তত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আসছে নয়া 'প্রমোশন নীতি'।
নয়া শিক্ষানীতি ঘিরে বিতর্ক; মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষায় কী পরিবর্তন? পড়ুন
বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ স্কুল স্তরের পরীক্ষায় এখনই কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। কেন্দ্রের শিক্ষানীতিতে একটি মাত্র বোর্ডের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার!
শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। ব্রাত্যর ডাকা বৈঠকে এলেন মাত্র ১২ জন রেজিস্ট্রার। 'রাজভবন থেকে মেসেজ করে নিষেধ করা হয়েছে রেজিস্ট্রারদের'। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর গানের অ্যালবাম!
রাজ্যের দায়-দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পে যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা অসংখ্য বই ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়, এমনকী বেস্ট সেলারের তকমাও পেয়েছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গানও বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি দুটি ধারাবাহিকের গান লেখা ও সুর দেওয়ার জন্য তাঁকে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের বিশেষ সম্মানও দেওয়া হয়। যদিও সেই পুরস্কার গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার পুজোয় ফের গানের অ্যালবাম রিলিজ করবেন তিনি।
রাজভবনের সামনে ধরনায় উপাচার্য-অধ্যাপকরা!
শিক্ষাক্ষেত্রে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এককভাবে। রাজ্য সরকারকের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাই করেননি। এই অভিযোগে বারবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের বিরোধিতায় সরব রাজ্য সরকার। যাদবপুর থেকে শুরু করে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত মোটেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ভালভাবে গ্রহণ করেনি। তাঁর নিযুক্ত উপাচার্যদের কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। ক্রমেই চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত।
শুক্রবার রাজভবনে আচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় 'দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরাম'। যার সদস্য প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। তাঁদের সকলের আপত্তি একটাই, আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের যা ভূমিকা, তা লঙ্ঘন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে 'অতিরিক্ত' কাজ করছেন। তাঁর কোনও এক্তিয়ার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার। এছাড়া উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিজেই কীভাবে ওই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন আচার্য, তার নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধান মেনে কাজ করছেন না রাজ্যপাল। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা।