'কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে...' কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। এবার এই মামলায় দেশের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২
কত টাকা দিয়ে চাকরি কিনলেন? ফের SSC-র স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নবম-দশমে পরীক্ষায় অসফল হয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আগে অনেকবার সামনে এসেছে। এ বার যুক্ত হল নিয়োগ তালিকার মেয়াদ শেষের পর নিয়োগ সুপারিশ পত্র দেওয়ার। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল মঙ্গলবার।
বিচারপতির প্রথম প্রশ্ন, কত টাকা দিয়ে চাকরি কিনলেন? কে চাকরি বিক্রি করল আপনাকে? আরটিআই কি চাকরি দেয়? গুরুপদ ঘড়াই না ঘাবড়িয়ে উত্তর দিলেন, পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলাম। এটাই শেষ এসএসসি ছিল আমার। একাই ঘোরাঘুরি করি চাকরির জন্য। আরটিআইয়ের পর নম্বর বাড়ে। এসএসসি ডেকে চাকরির সুপারিশ পত্র দেয়। নিশ্চয়ই আমার নাম চাকরির জন্য এসেছিল, তাই চাকরি দিয়েছে। মেধাতালিকায় নাম ছিল কিনা সেটা আমার জানা নেই।
এমন উত্তর শুনে কড়া ধমক দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আপনাকে ডিআইজি সিআইডি-এর হাতে তুলে দেব। আপনাকে অ্যান্টি রাইডিং সেকশনের অফিসারদের কাছে পাঠাবো। কালই পাঠাবো।
স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে জানায়, ১৯-১২-২০১৯ নিয়োগ তালিকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, আদালত বিষয়টি রেকর্ড রাখুক। নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগ তালিকা মেয়াদ শেষের ঠিক পরের দিন, ২০-১২-২০১৯ ইন্টারভিউ এবং ওইদিনই নিয়োগ সুপারিশ পত্র গুরুপদ ঘড়াইকে দেয় এসএসসি। সেই কারণেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুপদ ঘড়াইয়ের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হওয়ায় মুর্শিদাবাদের ডিআই'কে বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুর দুটোয় ফের ভুয়ো নিয়োগে অভিযুক্ত কে এজলাসে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
এবার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করল পর্ষদ!
করোনার কারণে টানা দু-বছর বন্ধ ছিল স্কুল। মূলত এই কারণে কোনও পরীক্ষা হয়নি স্কুলে। গত বছর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও হয়নি। বিকল্প পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ হয়েছে পড়ুয়ারা। প্রথম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষাই নেওয়া হয়নি।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার জুনিয়র হাই, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকে এ বিষয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে, ৭ মে তারিখের মধ্যে শেষ করতে হবে প্রথম সামেটিভ। ২০ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে দ্বিতীয় সামেটিভ। তৃতীয় সামেটিভ শেষ হবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। ২০২৩ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে হবে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
করোনা আবহে প্রায় দু-বছর বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই ক্লাস করেছেন পড়ুয়ারা। পরীক্ষা থেকে দূরেই ছিল তারা। এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। দেশজুড়েই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। খুলেছে স্কুলের দরজা। অফলাইনে শুরু হয়েছে পড়াশোনা। অফলাইনেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ছন্দে ফিরছে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। তাই এবার ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তৈরি করে ফেলেছে সূচিও। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই তাদের পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাতিল ফুড সাব-ইনস্পেক্টর পদের প্যানেল; অথই জলে ৯৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী
নিয়োগ ঘিরে ফের বিতর্ক। এবার রাজ্যে ফুড সাব ইন্সপেক্টরের প্যানেল বাতিল করল স্যাট। দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে মঙ্গলবার এই প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল প্যানেলে থাকা ৯৯৭ জনের ভবিষ্যৎ।
রাজ্যে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষার আয়োজন করেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
এই প্যানলের ১০০ জন ইতিমধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। স্যাট-এর সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল তাদের ভবিষ্যৎ। এর আগেও রাজ্যের একাধিক প্যানেল বাতিল করেছে আদালত। চাকরিরতদের বরখাস্তের পাশাপাশি ইতিমধ্যে প্রদান করা বেতন পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্য সরকারের সেই অস্বস্তির তালিকায় নতুন সংযোজন ফুড সাব ইন্সপেক্টর প্যানেল বাতিলের নির্দেশ।
কয়লাকাণ্ডে ফের অভিষেকের স্ত্রী শ্যালিকাকেও তলব!
কয়লা-কাণ্ডে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল। তৃণমূল বা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ লোকজনের নামই সামনে এসেছে এই মামলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত শুরু হলেও এখনও চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডি দফতরে যাওয়ার কথা থাকলেও, ব্যক্তিগত কারণ থাকায় তিনি যাননি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নথি ইমেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে কয়লা কাণ্ডে গত ২১ মার্চ ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে ইডির দফতরে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। এরপর বাইরে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমি আমার অবস্থানে অনড়। ১০ পয়সার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। আমি মাথানত করব না। আমি অন্য মেটিরিয়াল। এসব যত করবে আমি লক্ষ্যে অবিচল থাকব। সবাই মেরুদণ্ডহীন হয় না।"
কয়লা কাণ্ডে তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করেছিল ইডি। ২২ মার্চ তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও অভিষেক জানান, ছেলে ছোট থাকায় তার দেখভালের জন্য রুজিরা হাজিরা দিতে পারবেন না।
বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ; এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক
রাজ্যে ফের বোমা বিস্ফোরণ। মালদহের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। বোমা ফেটে উড়ল একটি বাড়ি। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দারপাড়ায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেখানে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেটাই আচমকা ফেটে আগুন লেগে যায় বাড়িটিতে।
গত সপ্তাহে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উপপ্রধানের খুন এবং তার পরে ১০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ফলে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু দুষ্কৃতী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এরপরও বাসন্তীর সর্দারপাড়ার এই বাড়ি থেকে মজুত হওয়া বোমা উদ্ধার করা যায়নি। তার জেরেই এদিনের বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আদালতে রক্ষাকবচের আরজি খারিজ; অস্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল
গরু পাচারকাণ্ড মামলায় এবার চাপ বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের। আদালতের রক্ষাকবচ পেলেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। অর্থাৎ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে এবার অনুব্রতকে যেতেই হবে।
গরু পাচার মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআই প্রথম তলব করেছিল তৃণমূলের হেভি-ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে সেদিনও হাজিরা এড়িয়ে যান 'কেষ্টদা।' পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। ওইদিন তিনি রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালে ভরতি হন। ফলে নিজাম প্যালেসে তিনি যাননি। এরপর গত ৪ মার্চ ফের অনুব্রতকে নোটিশ পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। ১৫ মার্চ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই মাঝে সিঙ্গল বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেন অনুব্রত। ১১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আরজি খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।






