বিএলও হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ মামলায় আর কোনও বাধা নেই, এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এখনও পর্যন্ত মামলাকারীদের কোনও কাজ নির্দিষ্ট করা হয়নি, তাই মামলার নিষ্পত্তি বলে জানান তিনি। রবিবার কাজ করতে অসুবিধা কোথায়, প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তার বিরোধিতায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা দায়ের হয়। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সুবীর স্যানাল বলেন, "মামলাকারীরা সবাই প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের ডিউটি ডোর টু ডোর যাওয়া, বিশেষ ক্যাম্পেনিং ইত্যাদি? এটা প্রতিদিনের কাজ? কোনও ছুটির দিনের কাজ এটা নয়। স্কুলের কাজ করতে হবে না এটাও বলা হয়নি। কতদিন কাজ করতে হবে, সেটাও স্পষ্ট উল্লেখ নেইক। ইলেকটোরাল রোল রিভিশন করার কথা বলা হয়েছে। নবদ্বীপ, বামুনগাছি ইত্যাদি জায়গায় ৯০ শতাংশ শিক্ষকরা কাজ করছেন। স্কুলের সময়ের বাইরে ছুটির দিন কাজ করার কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা আছে বলেই কী চাপিয়ে দিতে পারে কমিশন?"নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, "বুথস্তরের আধিকারিকরা বাড়িতে গিয়ে তথ্য নিয়ে আসেন। কমিশন একা সিদ্ধান্ত নেয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের সায় থাকলেই করে। সবাইকে ডাকা হবে এমন নয়। এই প্রথমবার নির্বাচনের ৬ মাস আগে ড্রাফট তৈরি হচ্ছে।" সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন,"এখনও পর্যন্ত কী কাজ, সেটা নির্ধারণ করা হয়নি। মামলাকারীরা আগে থেকেই কেন ধরে নিচ্ছেন হোলটাইম কাজ করতে হবে? আইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কাজের কথা আছে। গোটা দেশ আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করছে। এই কাজ করুন। রবিবার কাজ করতে অসুবিধা কোথায়?" “শিক্ষক থাকলেও স্কুলে ছাত্র আছে কী?"সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি।
সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
কেন পদ ছাড়লেন? বিস্ফোরক তৃণমূলের কল্যাণ
সংসদীয় দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতকের পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুরের সাংসদের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো ঝড় উঠেছে। কেন কল্যাণ মুখ্যসচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই কল্যাণের এই সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
কেন তিনি পদ ছাড়লেন, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন কল্যাণ নিজেই। শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, 'মমতাদি অভিযোগ করেছেন লোকসভায় সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে না, ফলে আঙুল তো আমার দিকে তোলা হচ্ছে। তাই আমি এই পদ ছেড়ে দিলাম। শুধু তাই নয়, কল্যাণ অভিযোগের সুরে আরও বলেন, দিদি বলছেন ঝগড়া করছে৷ যাঁরা আমাকে গালাগাল দেয় আমি কি সহ্য করব? দলকে জানিয়েছি, দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে উল্টে আমাকেই দোষারোপ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল ভারে দল চালাক। লোকসভায় ভাল করে দল চলুক।' তিনি যে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্যের ক্ষুব্ধ এবং দল ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ, তা গোপন করেননি কল্যাণ।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস টিম ইন্ডিয়ার!
ওভালে অসাধ্য সাধন করল টিম ইন্ডিয়া। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ইনিংস ভারতের স্বপ্ন একপ্রকার শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটকে কেন অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয় তার প্রমাণ ফের মিলল ওভালে। একেবারে খাদের কিনারা থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে কীভাবে ম্যাচ জিততে হয় তা দেখিয়ে দিল ভারতীয় দল। কাজে এল না রুট ও ব্রুকের সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বাজবল নয়, শেষ কথা বলল ভারতের টিম গেম। ব্রুক ও রুট সেঞ্চুরির পর আউট হতেই ঘুড়ে যায় ম্যাচের মোড়। ওভালে ৬ রানে ঐতিহাসিক জয় পেল শুভমান গিলের দল। সৌজন্যে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজদের হার না মানা জেদ ও আগুনে বোলিং। এই জয়ের সঙ্গে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করল ভারত।
শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
ফের বিতর্কে জড়ালেন কেষ্ট; আইসি কাণ্ডের পর অনুব্রতের নিশানায় পুলিশ সুপার
বোলপুরের আইসিকে কুকথা বলায় আগেই বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ বার কেষ্টর নিশানায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। তৃণমূল নেতা বললেন, "বীরভূম জেলায় এই ধরনের সংস্কৃতি আগে ছিল না। আমি মনে করি, এই পুলিশ সুপার আসার পর থেকেই এমন সংস্কৃতি শুরু হয়েছে।" ঘটনাচক্রে, এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘাতও বাধে। এর পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ অনুব্রত। তিনি বলেন, "আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কালি লাগাচ্ছে। সেখান থেকে এসপি অফিস হচ্ছে কুড়ি হাত দূরে। উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?"
এর পরে অনুব্রত আরও বলেন, "আমরা আগে বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা কোনও দিন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা কারও ছবিতে কালি লাগাইনি। আমরা বিজেপির কোনও ছবিতে কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়। এই ধরনের পুলিশ সুপার থাকলে এই ধরনের নোংরামিই হবে!" মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনার পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি নেতারা। প্রকাশ্যে বচসা এবং ধাক্কাধাক্কিও হয় বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। ধ্রুব-সহ একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় ধ্রুবকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধ্রুব-সহ বিজেপির মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্কুলে পড়ালে এখন আরও বেশি সুবিধা? নয়া সিদ্ধান্ত এসএসসি'র
নিয়োগে কর্মরত তথা যোগ্য শিক্ষকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আবেদন করবেন, তাঁদের কাছ থেকে স্কুলের নাম সহ একাধিক তথ্য চাইল এসএসসি। বাড়তি সুবিধার জন্যই কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যোগ হল এই নয়া অপশন? মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
জানা গিয়েছে, এসএসসি-র সাইটে নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের জন্য কর্মরত শিক্ষকদের এডিট অপশন দেওয়া হচ্ছে। আগের পরীক্ষার রোল নম্বর, আগে শিক্ষকতা করিয়েছেন তার কোড নম্বর, স্কুলের কোড কী ছিল? তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবেদন পত্রে জানাতে পারবেন, স্কুলের নাম, কবে প্রথম স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন? তাঁর কত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে? ইত্যাদি৷এসএসসি-এর ওয়েবসাইটে এডিট অপশনে গিয়ে এই তালিকা গুলি পূরণ করতে হবে। কর্মরত শিক্ষক বা যোগ্য শিক্ষকরা এই তালিকাগুলি পূরণ করতে পারবেন। ৫ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত এই তালিকা পূরণ করতে পারবেন কর্মরত তথা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শুক্রবার গভীর রাতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য আগেই অতিরিক্ত নম্বর বরাদ্দ করেছে এসএসসি নিয়োগের জন্য। এবার যে স্কুলে আগে শিক্ষাগত করিয়েছেন সেই স্কুলের নাম সহ বিস্তারিত তথ্য যোগ্য তথা কর্মরত শিক্ষকদের থেকে চাইল এসএসসি।
শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
শনিবার থেকে পাড়ায় পাড়ায় 'সমাধান' শিবির!
শনিবার ২ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান'। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকারের আদলে শুরু হওয়া এই প্রকল্প সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার। শনিবার থেকেই প্রতি তিনটি বুথ নিয়ে একটি করে শিবির আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন। কিছু দিন আগেই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির অধীনে ১৫টি কাজকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। নবান্নের পক্ষ থেকে রাস্তা মেরামতির কাজকেও এই কর্মসূচির অধীনে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা, জল সরবরাহ, এলাকায় এলাকায় রাস্তার আলো, বুথে বুথে শৌচাগার, আইসিডিএস কেন্দ্র গুলির পরিকাঠামোর মান উন্নয়ন, প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, পুকুর ও জলাশয় গুলির সৌন্দর্যায়ন ও ঘাট গুলির সংস্কার, বাজারগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন সহ একাধিক কাজ করার কথা অগ্রাধিকার হিসেবে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুথ ভিত্তিক ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮ হাজার কোটি টাকার ও বেশি টাকা এই প্রকল্পে অধীনে বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ১৫ টি কাজের পাশাপাশি অন্য কোন অভিযোগ এলেও তারও নিষ্পত্তি করতে হবে বলো জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে নির্দেশিকায়।
নির্বাচনের মুখে ৮ হাজারের বেতন হয়ে গেল ১৬ হাজার!
সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোট আসতেই কল্পতরু রূপে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দ্বিগুণ করে দিলেন মিড ডে মিল রাঁধুনীদের বেতন। স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী থেকে ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাকটরদের বেতনও একবারে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বিহার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মিড ডে মিলে রাঁধুনীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। আগে তারা পেতেন ১৬৫০ টাকা, এবার থেকে তারা ৩৩০০ টাকা বেতন পাবেন। স্কুলের নাইট ওয়াচম্যানদের বেতনও ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ফিজিক্যাল এডুকেশন ও হেলথ ইনস্ট্রাকটরদের বেতন ৮ হাজার থেকে বেড়ে ১৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিও ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গতকালই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আশাকর্মী ও মমতা কর্মীদের সাম্মানিক ভাতাও বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। আশাকর্মীদের বেতন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে। মমতা কর্মীদের প্রতি ডেলিভারি পিছু ভাতা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার নীতীশ কুমার অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের পেনশন বাড়ানোরও ঘোষণা করেন। আগে অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা মাসিক ৬০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হত, যা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হল। পেনশনভোগী কোনও সাংবাদিক যদি মারা যান, তাহলে তাঁর স্ত্রী আজীবন মাসিক ১০,০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। ২০১৯ সাল থেকে এই পেনশন প্রকল্প শুরু করেছিল বিহার সরকার।