রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে গেস্ট টিচার নিয়োগে না করার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। ওই সিদ্ধান্তের জেরে সিবিসিএস ব্যবস্থায় ক্লাস চালাতে গিয়ে অধ্যাপক সঙ্কটে জেরবার রাজ্যের একাধিক কলেজ। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘুরপথে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের একটি কলেজ 'ক্লাস টিচারের' নামে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সঙ্গে ইন্টারভিউর কাজ শেষ করে ফেলেছে। যদিও রাজ্যে 'ক্লাস টিচার' নাম দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সমস্যা সমাধানের দাবিতে, ইতিমধ্যে বহু কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের বহু কলেজে অধ্যাপকের সঙ্কট রয়েছে। সেকারণে বাম জমানায় বিভিন্ন কলেজে পার্ট টাইম টিচার নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। ওই সময় স্রেফ রাজনৈতিক কারণে বহু কলেজেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পার্ট টাইম টিচার নিয়োগ করা হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ। এই ব্যবস্থায় রাশ টানতে ২০১০ সালের অক্টোবরে অনুমতি ছাড়া পার্ট টাইম টিচার নিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বহু কলেজে অধ্যাপকের সঙ্কট শুরু হলে 'গেস্ট টিচার' নাম দিয়ে ফের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। এক্ষেত্রেও বহু কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক স্বার্থে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে গেস্ট টিচারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজার। এইসব টিচারদের বেতনের কোনও স্কেল নেই। ক্লাস পিছু কোথাও ৭৫টাকা, কোথাও আবার মাসে দেড় হাজার টাকা থেকে সাড়ে ছ-হাজার টাকা দেওয়া হয়। স্থায়ীকরণ ও নির্দিষ্ট বেতনের দাবিতে তাঁরাও আন্দোলন শুরু করেছেন।
এই রকম পরিস্থিতিতে, গত ১৩ জুলাই রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব রাজ্যের সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও টিচার ইনচার্জ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়ে বলেন, কোনওরকম নিয়মকানুন না মেনে বহু কলেজ গেস্ট টিচার নিয়োগ করছে। এবার থেকে দফতরের অনুমোদন ছাড়া কোনও সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজ গেস্ট টিচার নিয়োগ করতে পারবে না। এই নির্দেশিকা আসার পর রাজ্যের একাধিক কলেজ বিপদে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের বহু কলেজে অধ্যাপকের সঙ্কট রয়েছে। সেকারণে বাম জমানায় বিভিন্ন কলেজে পার্ট টাইম টিচার নিয়োগ করে সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। ওই সময় স্রেফ রাজনৈতিক কারণে বহু কলেজেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পার্ট টাইম টিচার নিয়োগ করা হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ। এই ব্যবস্থায় রাশ টানতে ২০১০ সালের অক্টোবরে অনুমতি ছাড়া পার্ট টাইম টিচার নিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বহু কলেজে অধ্যাপকের সঙ্কট শুরু হলে 'গেস্ট টিচার' নাম দিয়ে ফের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। এক্ষেত্রেও বহু কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক স্বার্থে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে গেস্ট টিচারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজার। এইসব টিচারদের বেতনের কোনও স্কেল নেই। ক্লাস পিছু কোথাও ৭৫টাকা, কোথাও আবার মাসে দেড় হাজার টাকা থেকে সাড়ে ছ-হাজার টাকা দেওয়া হয়। স্থায়ীকরণ ও নির্দিষ্ট বেতনের দাবিতে তাঁরাও আন্দোলন শুরু করেছেন।
এই রকম পরিস্থিতিতে, গত ১৩ জুলাই রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব রাজ্যের সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও টিচার ইনচার্জ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়ে বলেন, কোনওরকম নিয়মকানুন না মেনে বহু কলেজ গেস্ট টিচার নিয়োগ করছে। এবার থেকে দফতরের অনুমোদন ছাড়া কোনও সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজ গেস্ট টিচার নিয়োগ করতে পারবে না। এই নির্দেশিকা আসার পর রাজ্যের একাধিক কলেজ বিপদে পড়েছে।
Loading...
loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন