ফের বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে এবার রাজ্য সরকারের 'রিভিউ পিটিশন' খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। দেশের শীর্ষ আদালত ৭ আগস্ট জানিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার যে আবেদন করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাই আবেদনটি খারিজ করা হল।
বিতর্কের মূলে আগের রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন পিটিটিআই থেকে ট্রেন্ড প্রার্থীরা ২০০১ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট রুলস অনুযায়ী বাড়তি ২২ নম্বর পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদিত ছিল। কিন্তু এনসিটিই অনুমোদিত নয়। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বহু মামলা হয়। শেষে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের আইনি ব্যবস্থায় সঙ্ঘাত দেখা দিলে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অযোগ্য ঘোষণা করে আদালত। এর পরে ওই প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
এই বছরের ২৪ জানুয়ারি উপরোক্ত বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মামলাকারীদের দোষারোপ করা যায় না। সেই সূত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১) এমন প্রশিক্ষণের শংসাপত্র যাঁদের আছে এবং যাঁরা ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আইনি বিচার প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁরাই ওই অতিরিক্ত নম্বর পাবেন। ২) ২০০৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ২০০৯-১০ সালে পরিণতি প্রাপ্ত হয়, সেখানে মামলাকারীদের ওই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষক পদের প্যানেল আবার বানাতে হবে। ৩) তবে এর জন্য যাঁরা ইতিমধ্যেই নিয়োগ হয়েছেন, তাঁদের চাকরিতে হস্তক্ষেপ না করে রায় ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে মামলাকারীদের নিয়োগপত্র দিয়ে দিতে হবে। ৪) মামলাকারীদের জন্য দরকারে পদ তৈরি করতে হবে। যা ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে হবে।
ওই রায় বর্তমান রাজ্য সরকার পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের একই বেঞ্চে। কিন্তু, আবেদনটি খারিজ হওয়ায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়া ছাড়া রাস্তা খোলা নেই রাজ্য সরকারের কাছে।
এই বছরের ২৪ জানুয়ারি উপরোক্ত বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মামলাকারীদের দোষারোপ করা যায় না। সেই সূত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১) এমন প্রশিক্ষণের শংসাপত্র যাঁদের আছে এবং যাঁরা ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আইনি বিচার প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁরাই ওই অতিরিক্ত নম্বর পাবেন। ২) ২০০৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ২০০৯-১০ সালে পরিণতি প্রাপ্ত হয়, সেখানে মামলাকারীদের ওই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষক পদের প্যানেল আবার বানাতে হবে। ৩) তবে এর জন্য যাঁরা ইতিমধ্যেই নিয়োগ হয়েছেন, তাঁদের চাকরিতে হস্তক্ষেপ না করে রায় ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে মামলাকারীদের নিয়োগপত্র দিয়ে দিতে হবে। ৪) মামলাকারীদের জন্য দরকারে পদ তৈরি করতে হবে। যা ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে হবে।
ওই রায় বর্তমান রাজ্য সরকার পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের একই বেঞ্চে। কিন্তু, আবেদনটি খারিজ হওয়ায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়া ছাড়া রাস্তা খোলা নেই রাজ্য সরকারের কাছে।
Loading...
loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন