ঘোষণা-মতোই আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবার পার্শ্বশিক্ষকদের শায়েস্তা করতে বিধাননগরে আন্দোলনমঞ্চে উপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের ব্যাপক হারে বেতন কাটা হয়েছে। অনেক আন্দোলনকারীদের সারা মাসের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে।
বাদ যাননি নেতা-নেত্রীরাও। যে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন হয়েছিল, তার অন্যতম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ৩৭৬ টাকা বেতন পেয়েছেন। আন্দুলের শিক্ষিকা বৈশাখী চট্টোপাধ্যায় আবার এ মাসে কোনও বেতনই পাননি। মঞ্চের আরেক আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ ২১ দিনের বেতন পেয়েছেন। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, টানা ৩২ দিন আন্দোলন চলেছিল। তার মধ্যে অনশন আন্দোলন চলে ২৮ দিন। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বেতনবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন চলাকালীন স্কুলশিক্ষা দফতর আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের বার বার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল, স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে কাটা যেতে পারে বেতন। এমনকী, ডিআই এবং এসআইরা সশরীরে স্কুলে উপস্থিত থেকে খোঁজ নিয়েছেন অনুপস্থিতির।
পার্শ্বশিক্ষকদের ফোন করেও জিজ্ঞাসা করেছেন স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণ। সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও পঠনপাঠনে ক্ষতি, অভিভাবকদের ক্ষোভের কথা বলে শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পার্শ্বশিক্ষকরা মঞ্চ ছাড়েননি। সমগ্র শিক্ষা মিশনের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা শুভাঞ্জন দাস জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, অনুপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের যেন শোকজ করা হয়। তা হয়েওছিল। শোকজের উত্তর দিয়েছিল শিক্ষকরা। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, আন্দোলনের নাম করে অন্যত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। নিয়োগ-কর্তা হিসেবে সেই কারণ জানার অধিকার তো রয়েছেই। এটাকে শোকজ বলা যায় না।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, টানা ৩২ দিন আন্দোলন চলেছিল। তার মধ্যে অনশন আন্দোলন চলে ২৮ দিন। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বেতনবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন চলাকালীন স্কুলশিক্ষা দফতর আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের বার বার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল, স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে কাটা যেতে পারে বেতন। এমনকী, ডিআই এবং এসআইরা সশরীরে স্কুলে উপস্থিত থেকে খোঁজ নিয়েছেন অনুপস্থিতির।
Loading...
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন