স্কুল খোলায় শোকজ; ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন প্রধান শিক্ষক

সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে খুলেছিল দাসপুরের বি সি রায় উচ্চ বিদ্যালয়। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক। গতরাতেই তাঁকে শোকজ করা হয়। এরপরই আজ থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। আজ শোকজের  চিঠি পেয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক। সেই সময় চোখের জলও ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বলেন, ৩১বছরের শিক্ষকতা জীবনে এমন অপমানিত কখনও হননি । 

প্রসঙ্গত, রাজ্য সহ দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে টানা দু-মাসের বেশি সময় ধরে চলেছে লকডাউন। আর তার জেরে এখনও বন্ধ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও টানা লকডাউন চলার পরেও এখনও কমেনি এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। এমন সময় পশ্চিম  মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ ব্লকের হাটসরবেড়িয়া বিসি রায় উচ্চবিদ্যালয় স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে গতকাল। যদিও মানা হয়েছে সমস্ত সরকারি নিয়ম। মাস্ক, থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজেশনের সব মেনেই পুরোদস্তুর ক্লাস হল স্কুলে।

Loading...

স্কুল সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। এর পরেই স্কুল খোলার উদ্যোগ নেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক। সকলেই চাইছিলেন, স্কুলে আসুক বাচ্চারা। বাড়ি থেকে অনলাইনে ক্লাস করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেই সব আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সঙ্গে মিটিং করেন প্রধান শিক্ষক। সেই মিটিং থেকেই সিদ্ধান্ত হয়, কোভিড ১৯ সংক্রমণের সমস্ত নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে চালু হবে স্কুলের পঠন পাঠন।

এর পরেই বুধবার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসে এবং ক্লাসে বসে পড়াশোনা করে। সেই পুরোনো ছন্দে বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল– সব পড়ালেন স্কুলের শিক্ষকরা। দিলেন বাড়ির কাজও। যদিও মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব পালন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। 

Loading...