রাজনৈতিক মহলে শেষ তিন-চার মাস ধরে বেশ চর্চা চলছে মুকুল রায়কে ঘিরে। অনেকের প্রশ্ন কেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করছেন না, কেনই বা তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। এইসব নিয়ে চর্চার মাঝেই দিল্লির বৈঠক থেকে তাঁর কলকাতায় ফেরা চলতে থাকা এই বিতর্ক অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপিতে মুকুলের অবস্থান কেমন।
মুকুল রায় এখন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য। কিন্তু রাজ্যে তাঁর পায়ের তলার মাটি ততটা শক্ত নয়। তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁর যে প্রতাপ ছিল, রাজ্য বিজেপিতে আসার পরে তার সেই দাপট অনেকটাই কমেছে। সেটাই বারবার অন্তরায় হয়ে উঠছে মুকুলের কাছে। তবে মুকুলের গুরুত্ব কেউই প্রায় অস্বীকার করতে পারেন না।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির নেতাদের থেকে মুকুল রায়কে অনেকটা বেশি গুরুত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। আর তাই তিনি বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে থাকতেও পছন্দ করেন। আর সেখানে তাঁর সরকারি বাংলোও আছে রাজ্যসভার সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরও।
মুকুলের রাজনৈতিক বুদ্ধি ও সাংগঠনিক দক্ষতার উপর আস্থা রাখেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্যের সবাই না মানলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করে, ২০১৯ লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৮টি আসন জয়ের মূল কারিগর মুকুল রায়। মুকুল রায়কে নির্বাচন কমিটির মাথায় রেখেই ওই নির্বাচন লড়েছিল। মুকুল নেপথ্যে থেকে বিজেপিকে এগিয়ে দিয়েছে ২০১৯-এর ভোটে। তাঁর পরামর্শ মতোই বিজেপি ভাল ফল করেছিল লোকসভা ভোটে।
রাজ্যে এই সাফল্যের পরেও তাঁকে কোনও পদ দেওয়া হয়নি। প্রায় তিন বছর বিজেপিতে এসেও তিনি কোনও পদ পাননি। বিজেপিকে আশাতীত সাফল্য দিয়েও তিনি ব্রাত্য রয়ে গিয়েছেন বলে তাঁর অনুগামীরা মনে করেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেও মুকুলকে সেই উপহার এনে দিতে পারেননি।
তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে মুকুল রায় এবার কী করবেন। ২০২১-এর আগে তিনি বিজেপির হয়েই লড়াই করবেন, নাকি বিকল্প কিছু বেছে নেবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে তিনটি পথ রয়েছে। এক, বিজেপিতে মানিয়ে নিয়ে থেকে যাওয়া। দুই, তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করা। আর তিন, নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা কোনও মঞ্চ তৈরি করা।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির নেতাদের থেকে মুকুল রায়কে অনেকটা বেশি গুরুত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। আর তাই তিনি বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে থাকতেও পছন্দ করেন। আর সেখানে তাঁর সরকারি বাংলোও আছে রাজ্যসভার সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরও।
Loading...
রাজ্যে এই সাফল্যের পরেও তাঁকে কোনও পদ দেওয়া হয়নি। প্রায় তিন বছর বিজেপিতে এসেও তিনি কোনও পদ পাননি। বিজেপিকে আশাতীত সাফল্য দিয়েও তিনি ব্রাত্য রয়ে গিয়েছেন বলে তাঁর অনুগামীরা মনে করেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেও মুকুলকে সেই উপহার এনে দিতে পারেননি।
তার ফলেই প্রশ্ন উঠেছে মুকুল রায় এবার কী করবেন। ২০২১-এর আগে তিনি বিজেপির হয়েই লড়াই করবেন, নাকি বিকল্প কিছু বেছে নেবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে তিনটি পথ রয়েছে। এক, বিজেপিতে মানিয়ে নিয়ে থেকে যাওয়া। দুই, তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করা। আর তিন, নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা কোনও মঞ্চ তৈরি করা।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন