দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে আটকে আছে একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ তো বটেই, এমনকি সেই সব নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়াও কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জেরে আটকে আছে। অতিমারির মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকপদ পূরণের সেই জট কাটাতে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আপারের নিয়োগ নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আপার প্রাইমারী সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধিরা। ওই মঞ্চের প্রতিনিধিরা জানিয়ে ছিলেন নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে তাঁদের। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই নিয়োগ এখন আদালতের বিচারাধীন বিষয়। আদালতে এই নিয়োগ জট কাটলে আপডেট সিটের বিষয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ট্রেন্ড প্রার্থীদের নেওয়ার পরে সিট পড়ে থাকলে সেখানে ননট্রেন্ড প্রার্থীদের নেওয়া হবে।
এবার সম্ভবত শিক্ষামন্ত্রী কথা রাখতে চলেছেন। নতুন ৫ হাজার ১০০ পদ তৈরি হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কমিশন অভিযোগ করেছে এই সিট বাড়ার পরেও
কিন্তু বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, "চাকরি-প্রার্থীরা অনেক দিন ধরেই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়ে আসছেন। সরকার এবং কমিশনের এত দিন পরে বোধোদয় হল। মামলার শুনানিতে চাকরি-প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকের কেউ ছিলেন না। এই ভাবেই তো মামলার দিন পিছিয়ে যাচ্ছে।"
জানা গিয়েছে, গত চার বছরে উচ্চ প্রাথমিকে আরও অন্তত ৫০০০ পদ শূন্য হয়েছে। নিয়োগ আটকে থাকায় করোনা পর্বের পরে পঠনপাঠন কী ভাবে চলবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।
"আমরা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু বিষয়টি এখন বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করব না," বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন