করোনা আবহেই ২১-এর বিধানসভা ভোটের দামামা বেজেছে। এরপর থেকেই রাজ্যের শাসকদল একের পর এক ঘোষণা করে চলেছে। সিভিক ভলান্টিয়ার, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পর এবার চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত, পৃথক কামতাপুরি রাষ্ট্রের দাবি নতুন ঘটনা নয়। এই দাবিতে নব্বইয়ের দশকে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ সহ গোটা রাজ্য। নিজেদের দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৯৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন জীবন সিংহ ও মিলটন বর্মন। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় এই সংগঠন দ্রুত তাদের প্রভাব বাড়াতে থাকে। ধীরে ধীরে এই সংগঠন জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মালদা জেলার প্রচুর যুবক কেএলও সংগঠনে নাম লেখায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের আশায় ছিলেন এই জেলার আত্মসমর্পণকারী ৪১ জন কেএলও জঙ্গি। কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারের ৭৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। তাতে তাঁদের আশা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এনিয়ে মালদা প্রশাসনের ঢিলেমি তাঁরা অধৈর্য হয়ে পড়ছিলেন। তাই ৪ মার্চ মালদায় থাকাকালীন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দ্রুত নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দেন। কিন্তু সেখানেই আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। এরপর একাধিকবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন আত্মসমর্পণকারী প্রাক্তন কেএলও সদস্যরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল জেলা প্রশাসনিকভবনে ৩৫ জন প্রাক্তন কেএলও সদস্যের হাতে হোমগার্ডে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন