বর্তমানে করোনার সঙ্গে লড়াই, নাকি নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে মাথা ঘামানো? পশ্চিমবঙ্গ সরকার মনে করছে, মহামারী মোকাবিলা বেশি জরুরি এই মুহূর্তে। তাই রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না নয়া শিক্ষানীতি। আজ কেন্দ্রের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকের পর একথা জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে কেন্দ্রের বিরোধিতায় তামিলনাড়ু সরকার স্পষ্ট জানিয়েছিল, নতুন শিক্ষানীতি তাদের রাজ্যে লাগু করা সম্ভব নয়। আর এবার করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আপাতত নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু পিছিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ।
নতুন শিক্ষানীতিতে পদ্ধতিতে পড়াশোনার কথা বলা হয়েছে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আর্থিক সংস্থান কী? এই প্রশ্নের জবাবই মিলল না। তাই আজ জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির ডাকা ভারচুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত,নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এদিন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এমনই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের এই ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালগুলির উপাচার্যরা।
এর পরে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সময়ের চাহিদা মেনেই নয়া এই শিক্ষানীতি আনা হয়েছে। তাঁর মতে, পড়ুয়াদের উপর অতিরিক্ত অনাবশ্যক পড়াশোনার ভার না চাপিয়েও কীভাবে তাঁরা ভবিষ্যতে সফল হতে পারবেন, তার একটা স্পষ্ট ধারণা মিলবে এই শিক্ষানীতি রূপায়নের ফলে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "গোটা দেশ বর্তমানে যা চাইছে, সেই চাহিদা পূরণের যাবতীয় বিষয় রয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন