আজ, সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ও সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত মতামত নেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষা সচিব বৈঠক করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং সিলেবাস কমিটির সঙ্গে। ওই বৈঠকে পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কার্তিক মান্না, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার এর পাশাপাশি অনেক দিন পরে এই দিনের বৈঠকে যোগ দেন পর্ষদের স্থায়ী সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও।
অন্যদিকে, বৈঠকে উপস্থিত থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্থায়ী সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মে-জুন মাসের আগে মাধ্যমিক নেওয়া সম্ভব নয়, কারণ পরীক্ষা নেওয়ার আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অন্তত তিন-চার মাস সময় লাগবে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে ও মার্চ মাসে কেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, তা নিয়েও স্কুল শিক্ষা সচিবের প্রশ্নের মুখে পড়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে সে ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার কথা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। কারণ, ওই দুই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা যদি মার্চ মাসে হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এ রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়ারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে।
অপরদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কতটা সিলেবাস কাটছাঁট হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই বোর্ডের তরফে রিপোর্ট জমা পড়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরে। সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট জমা পরপর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে তা ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত দুই বোর্ডের তরফেই মাধ্যমিকের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সিলেবাস এবং উচ্চমাধ্যমিকের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কাটছাঁটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই দিনের বৈঠকে স্কুল শিক্ষা সচিব কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যাবতীয় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নেবেন। সে ক্ষেত্রে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কোন সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসে নাকি সেই দিকেই নজর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন