সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত মানুষ চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বড় উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্যে সোমবার নবান্ন সভাঘরে ৫ বছর ব্যাপী প্রকল্প "চোখের আলো'–র সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বয়স্কদের ছানি অপারেশন করা এবং নবীন থেকে প্রবীণ সকলের চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নন, চোখের আলো প্রকল্পের সুবিধা পাবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
অপরদিকে, চলতি মাসে কী রাজ্যে স্কুল খুলতে চলেছে? জল্পনা বেড়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই স্কুল খোলা হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে সুরক্ষার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাতে নিয়মিত পঠনপাঠন করা যায়, তার প্রথম লক্ষ্য হল জীবাণু মুক্তির কাজ। সেই জীবাণু মুক্তির কাজ ইতিমধ্যে বিভাগীয় স্তরে সকলকে বলা হয়েছে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই স্কুল খোলা হবে। আধিকারিকদের বক্তব্য, করোনা প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হলে স্কুল খোলা হবে।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে পর্যায়ক্রমে ক্লাস চালু হতে পারে। প্রায় ১০ মাস টানা স্কুল বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষগুলিতে ধুলো জমেছে। শ্রেণিকক্ষ ও শৌচাগার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। আংশিকভাবে ক্লাস চালু হলে কোন কোন নিয়ম মানতে হবে তার গাইডলাইনও তৈরি। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবিষয়ে কথা চলছে। চলতি মাসেই স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউনের জেরে গত মার্চ মাস থেকে রাজ্যে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস হলেও স্কুলে পঠনপাঠন চালু করেনি রাজ্য সরকার। তবে অসম সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। সোমবার ত্রিপুরাতেও পঞ্চম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হতে চলেছে। বাংলায় করোনার প্রকোপ কিছুটা কম হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি স্কুল চালু করার পক্ষে প্রশ্ন করছে। তবে করোনার নতুন স্ট্রেনও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন