আপার প্রাইমারির ভেরিফিকেশনের জন্য নোটিশ জারি হয়েছে আগেই। চৌঠা জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি আপার প্রাইমারির ভেরিফিকেশন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিয়েই ৪ জানুয়ারি থেকেই ভেরিফিকেশন শুরু করতে চলেছে কমিশন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে বৈঠকে বসেন এসএসসির আধিকারিকরা। আপাতত ভেরিফিকেশন পর্ব শুরু করুক এসএসসি। প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নেওয়া হবে। ওই বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের এমনই বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
নথি অনলাইন জমা দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়েছে সাম্প্রতিকতম এই বিবৃতিতে। এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল, ভেরিফিকেশনের জন্য অনলাইনে নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতিতে সামান্য কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে কমিশন।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সমস্ত নথি নির্দিষ্ট পোর্টালে পিডিএফ ফরম্যাটে জমা দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৮ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তির অঙ্গ হিসেবে প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বরের বিবৃতিতে চাকরিপ্রার্থীদের নথি জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে JPEG ফরম্যাটে। যে সমস্ত নথির JPEG ফাইল আপলোড করতে হবে, সেগুলি হল:
১। ফটো আইডি (ভোটার কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ PAN কার্ড/পাসপোর্ট/ আধার কার্ড)
২। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
৩। মাধ্যমিকের মার্কশিট
৪। উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট
৫। স্নাতকের সব মার্কশিট
৬। প্রফেশনাল যোগ্যতার মার্কশিট
৭। জাতি শংসাপত্র (যাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
৮। ডিজেবিলিটি সার্টিফিকেট (যাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
৯। স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি
এই নথি জমা দেওয়া যাবে, ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। একবার ডকুমেন্ট সাবমিট করা হয়ে গেলে তা পরিবর্তনের কোনও সুযোগ দ্বিতীয়বার পাওয়া যাবে না বলেও নয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। ফলে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অনলাইনে ভেরিফিকেশনের জন্য অনলাইনে ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার আগে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গল বেঞ্চের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন হবু শিক্ষক ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন। ওই মামলার শুনানি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। কমিশনের ২০১৮-এর ২৮ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, টেট উত্তীর্ণ ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার ২৮০ জনের উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ আছে। বাকি ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৮০ জন প্রশিক্ষণহীন। তবে সব আবেদনকারীর নথি যাচাই হলেও, কমিশনে শূন্যপদের নিরিখে মেধাতালিকা অনুযায়ী, প্রতি ১০টি শূন্যপদের জন্য ১৪ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডাকার কথা। কমিশনের পুরোনো বিজ্ঞপ্তি মেনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা সেই সময় আবেদনে যে সব নথি জমা দিয়েছিলেন, তার অতিরিক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন কোনও নথি এখন জমা দিলেও তা গ্রাহ্য হবে না বলেই জানা গিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন