বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট করার দাবিতে পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন চলছিলই। রাজ্য সরকারের কাছে বারবার এ নিয়ে দরবার করেও মেলেনি সুরাহা। তাই নতুন বছরের প্রথমদিক থেকেই তাঁরা আন্দোলন আরও জোরদার করেন।
এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার। নিজেদের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা। এরপর পুলিশ তাঁদের সরাতে এলেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ক্রমেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠেদ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, "পুলিশ নির্মমভাবে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।" বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। অসুস্থ এক পার্শ্ব শিক্ষকের কথায়, "আমরা ন্যায্য দাবিতেই এই কর্মসূচি ডেকেছিলাম। আমরা ছেলে মেয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে পারি না। মা-বাবার চিকিৎসা করাতে পারি না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কোনও সহানুভূতিই দেখান না। উল্টে রাজ্যের পুলিশ আমাদের উপর এভাবে লাঠি চালাল।"
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার আজ অন্তর্বর্তী বাজেটে পার্শ্বশিক্ষকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ৩ শতাংশ হারে বাড়বে বেতন। নেতাজি ব্যাটালিয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করলেন তিনি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন