রাজ্যে স্কুল শিক্ষায় পিপিপি মডেল নিয়ে গতকাল থেকে বিতর্ক চলছে রাজ্য জুড়ে। এখন চাপের মুখে ভাবনা বাতিল করা হয়েছে বলে জানাল হয়েছে। এদিন শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, এর কোনও ভিত্তি নেই। শিক্ষায় যৌথ উদ্যোগের জন্য তৈরি নীতি তৈরির ভাবনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা বাতিল করা হয়েছে বলে বুধবার রাতে জানালেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন।
যৌথ উদ্যোগের জন্য মতামত চেয়ে জারি করা একটি সরকারি নির্দেশিকা নিয়ে শিক্ষা মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাতে শিক্ষায় যৌথ উদ্যোগ সংক্রান্ত একটি নীতির খসড়া নিয়েও শিক্ষা মহলে চর্চা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষা থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার! শিক্ষাক্ষেত্র থেকে এবার হাত গুটিয়ে আগ্রাসী বেসরকারিকরণের পথে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে সরকারি শিক্ষাঙ্গনের জমি, বিল্ডিং সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হবে। পিপিপি মডেলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কীভাবে তুলে দেওয়া হবে তার জন্য খসড়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। এমনই খবর মিলছে।
গত ২ডিসেম্বর নবান্নে এসে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে গিয়েছিলেন আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি। গৌতম আদানির পর গত ১০ফেব্রুয়ারি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন আদানি পুত্র করণ আদানি। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি এরাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ঘটনা হলো, ২০০৩সাল থেকে আদানি গোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করে। ‘আদানি বিদ্যা মন্দির’ শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর নয়া বিনিয়োগের ক্ষেত্র। আদানিদের হাতে রাজ্যের সরকারি শিক্ষাঙ্গনকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে রাজ্য।
ইতিমধ্যেই ৭৯টি জুনিয়ার হাই ও হাই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসাবে পড়ুয়ার সংখ্যাকে সামনে এনেছিল সরকার। শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়া হয়েছিল অন্য বিদ্যালয়ে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন