বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র পুত্রের রহস্যমৃত্যুর ৭-৮ ঘণ্টা পরে সামনে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে কোথাও আত্মহত্যার উল্লেখ নেই। প্রাথমিক ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের হৃদ্যন্ত্র, লিভার এবং কিডনি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ছিল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁচিশের যুবক সৃঞ্জয়ের সংজ্ঞাহীন দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্তের জন্য দিলীপের স্ত্রীর প্রথমপক্ষের ছেলের দেহ নিয়ে যাওয়া আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে।
হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, পৌনে ৫টা নাগাদ ময়নাতদন্ত হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলেছেন, মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ, অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। অর্থাৎ, অগ্ন্যাশয়ে কোনও প্রদাহ হয়েছিল। তা ছাড়া, হৃদ্যন্ত্রের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল সৃঞ্জয়ের। অগ্ন্যাশয়ে রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে আভাস পাওয়া গিয়েছে। এ-ও জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল রিঙ্কুর পুত্রের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন