এসএসসি নয়া বিধি মামলায় হস্তক্ষেপই করল না সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ সোমবার সাফ জানান, তাঁরা এই অবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না। তার ফলে ২০২৫ সালের নয়া বিধি মেনেই হবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন,"চিহ্নিত অযোগ্যরা এমনিই বাদ হয়ে গিয়েছে। তারা পরীক্ষায় বসছে না। 'যোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষকরা পরীক্ষায় বাড়তি সুযোগ পেলে ক্ষতি কি? তাঁদের তো পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা কখনও বলিনি রুলস ফ্রোজেন। নতুন বিধি আনার ক্ষমতা এসএসসির আছে। আমরা কখনও বলিনি কোন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ হবে।" এই যুক্তি মামলা গ্রহণই করল না সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়। ২০১৬ সালের এসএসসি গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ার পর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। নতুন বিধিও প্রকাশ করা হয়। তাতেই আপত্তি তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, কেন পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে? কেনই বা বয়সের অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্নও তোলা হয় আদালতে। এবং চিহ্নিত 'অযোগ্য'দের কেন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে এই আপত্তি তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগবিধি মেনেই হবে পরীক্ষা। তবে বলা হয় আগের নির্দেশ অনুযায়ী, 'চিহ্নিত অযোগ্য'রা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন