পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের শরীরে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এদিন বিকেলে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্তের যে সংখ্যাটা ৮০ ছিল, সেটাই শুক্রবার বেড়ে হল ৮৯।
মুখ্যসচিব বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে পাঁচজনেরই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৬২ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সংখ্যা আরও ২০ বাড়িয়ে ৫৮২ করা হয়েছে বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের ৭টি জায়গাকে আগেই করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য। এই সমস্ত জায়গাতেই করোনার প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে সর্বাধিক। এবার রাজ্যের করোনা ত্রস্ত ৯-১০টি জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। চিহ্নিত এই জায়গাগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্যই জারি এই লকডাউন পরিস্থিতি। শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে একথা জানিয়েছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। যদিও, এই জায়গাগুলোর নাম প্রকাশ করেনি সরকার।
জানানো হয়েছে, এলাকাগুলোতে সমস্ত পরিষেবাই বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই জায়গাগুলোকে কেন্দ্র করে ৫/৬ কিলোমিটার জুড়ে ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। কড়া নির্দেশ, এই এলাকার বাসিন্দারা কেউ বাড়ি থেকে বেরোবে না।
সতর্কতার জন্য নজরদারি চালাবে প্রশাসন। বাইরে থেকে এলাকায় ঢুকতে পারবেন না কেউ। এলাকা থেকেও বাইরে বেরোনোয় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্ৰী আবাসিকদের বাড়িতেই পৌঁছে দেবে সরকারের আধিকারিকরা। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। করোনার পরিসংখ্যানও জানান এদিন। রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা ৫। হোম কোরারেন্টিনেও চলছে নজরদারি।
মুখ্যসচিব বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে পাঁচজনেরই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৬২ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সংখ্যা আরও ২০ বাড়িয়ে ৫৮২ করা হয়েছে বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন।
জানানো হয়েছে, এলাকাগুলোতে সমস্ত পরিষেবাই বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই জায়গাগুলোকে কেন্দ্র করে ৫/৬ কিলোমিটার জুড়ে ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। কড়া নির্দেশ, এই এলাকার বাসিন্দারা কেউ বাড়ি থেকে বেরোবে না।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন