রাজ্যসহ গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। আর এই সময় বেতন পাওয়া নিয়ে ফের কি জটিলতা দেখা দিতে পারে? বেতন নিয়ে যে হিসেব উচ্চশিক্ষা দফতর কলেজগুলির কাছ থেকে চেয়েছে, তা কীভাবে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, এই কাজ যাঁরা করে থাকেন, তাঁদের পক্ষে কলেজে যাওয়া সম্ভব নয় বলে একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কারিগরি দক্ষতা না থাকলে এই কাজ বাড়িতে বসে করা যায় না বলেও কেউ কেউ জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেতন সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, লাইব্রেরিয়ান সহ অন্যান্য কর্মীদের বেতন বাবদ কত টাকা প্রয়োজন, তার হিসেব চেয়েছে দফতর। উল্লেখ্য, বেতনের জন্য প্রতি মাসে নয়, সরকারের তরফে এখন বছরে তিন ধাপে টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা মাসে মাসে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক এবং বাকিদের দেয় কলেজগুলি। ইতিমধ্যেই জানুয়ারি থেকে মার্চ—সেই টাকা পেয়েছে কলেজগুলি। পরের ধাপে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত টাকা দেওয়া হবে। তার জন্যই কলেজগুলির থেকে হিসেব চাওয়া হয়েছে এবং একটি ফরম্যাটও দেওয়া হয়েছে।
কলেজগুলির একাংশ জানিয়েছে, মাস মাইনের বিল খুব কম অধ্যক্ষই নিজের হাতে করে থাকেন বা করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা হেড ক্লার্ক, বার্সাররাই সাধারণত এই বিল করেন। তাছাড়া যাবতীয় হিসেব, জুলাই মাসের ইনক্রিমেন্টের হিসেব তাঁরাই করেন।
অধ্যক্ষ সই করেন কেবল। এখন এই লকডাউনের মাঝে শিক্ষা অধিকর্তার দফতর থেকে এমন হিসেব চেয়ে পাঠানোয় সমস্যায় পড়েছেন অধ্যক্ষরা। শুধু অধ্যক্ষ নন, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, হেড ক্লার্ক এবং বার্সাররা না এলে এই হিসেব দাখিল করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। ট্রেন-বাস কিছুই চলছে না। কলেজে যাওয়ারও প্রশ্ন নেই। কীভাবে এই হিসেব দেওয়া হবে তাহলে? তা ছাড়া বলা হয়েছে, এক্সেল শিটে তৈরি সেই হিসেব কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষকে সই করে পাঠাতে হবে। তাও আবার সফট কপি ই-মেল করে পাঠাতে হবে।
কলেজগুলির একাংশ জানিয়েছে, মাস মাইনের বিল খুব কম অধ্যক্ষই নিজের হাতে করে থাকেন বা করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা হেড ক্লার্ক, বার্সাররাই সাধারণত এই বিল করেন। তাছাড়া যাবতীয় হিসেব, জুলাই মাসের ইনক্রিমেন্টের হিসেব তাঁরাই করেন।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন