করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রথম দু-দিনে প্রায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে রেকর্ডও করে ফেলেছে দেশ। এরই মধ্যে এই মারণ ভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক গ্রাফও অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে। সোমবার দেশের দৈনিক মৃতের সংখ্যাটা কমতে কমতে নেমে এসেছে দেড়শোরও নিচে।
প্রেসিডেন্সির এসএফআই ইউনিট পথ অবরোধ, রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে অবস্থানও করেছে। যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই-এর পক্ষ থেকেও একই দাবি তোলা হয়েছে। তাদের সকলের যুক্তি, অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে রাজ্যের বহু পড়ুয়াই বঞ্চিত থাকছেন। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অন্তত প্র্যাক্টিকাল ক্লাস চালু করার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা) উপাচার্যকে জানিয়েছিল, মার্চে প্রথম এবং তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা। এ দিকে অনলাইন পঠনপাঠনের ফলে পড়ুয়াদের কোনও প্র্যাক্টিকাল ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এই ক্লাস পড়ুয়াদের জন্য খুবই জরুরি। এর পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেন, ইচ্ছুক পড়ুয়াদের নিয়ে প্রতিটি বিভাগ করোনা স্বাস্থ্য-বিধি মেনে প্র্যাক্টিকাল ক্লাস নিতে পারে। বলে রাখা ভাল, এখনও বন্ধ আছে হস্টেল। এর ফলে দূরে যে সব পড়ুয়া থাকেন, তাঁরা কী ভাবে ওই প্র্যাক্টিকাল ক্লাস করবেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ওই ক্লাস যদি কিছু পড়ুয়া না করতে পারেন, তা হলে তো পড়ুয়াদের মধ্যেই স্পষ্ট বিভাজন দেখা দেবে। আবার এই নির্দেশ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলিকে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ যে সব কলেজে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন চলে, তাদের দেওয়া হয়নি।
এমন আবহে শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার বিষয় যে এখনও অনিশ্চিত, তা শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যেই বোঝা গিয়েছে। তিনি বলেন, "সরকার সময় মতো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন