লাগামহীন রাজ্যের করোনা সংক্রমণ এই অবস্থায় CBSE-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। সপ্তাহ তিনেক আগেও দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ১ লক্ষের আশেপাশে। অথচ, এই তিন সপ্তাহে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে গেল যে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বরেকর্ড গড়ে পৌঁছে গেল সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ।
এমন কঠিন সময়ে CBSE ছাড়াও CISCE ও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বোর্ডগুলিও তাঁদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করার অথবা পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছুদিন আগেই। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে বাতিল হয়ে যাওয়া CBSE-র দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য মানদণ্ড তৈরি করবে বোর্ড। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই তাদের ছাত্রদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বা ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের তথ্য CBSE-র কাছে পাঠিয়েও দিয়েছে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, নয়ডা, ভুবনেশ্বর ও সুরাটের বিভিন্ন স্কুল সারা বছর ধরে নেওয়া অনলাইন ও অফলাইন পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যেই CBSE-কে পাঠিয়ে দিয়েছে। স্কুলগুলি সেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে সেই সম্পর্কেও জানিয়েছে CBSE-কে। সূত্রের খবর, স্কুলগুলির কাছ থেকে পাওয়া এই সব তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই Objective Criterion-এর পরিকল্পনা করে ২০২১ সালের দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করবে CBSE।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে 'Special objective criterion'-এর মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীদের একাদশ শ্রেণিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। তিনি এও জানিয়েছিলেন, যদি কোনও পরীক্ষার্থী এই মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুকূল হলে, তার কাছে পরীক্ষায় বসারও সুযোগ থাকবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন