পুজোর ছুটির পরে পর্যায়ক্রমে স্কুল খোলার ভাবনা। একদিন অন্তর স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের মার্চে করোনা বাংলায় থাবা বসানোর পরই স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট দুটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। চলতি বছরেও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২ শতাংশেরও কম। তাই ফের স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা ভাবনা শুরু করল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর পর স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। অলটারনেটিভ দিনে ক্লাস করানো হবে। নজর দেওয়া হবে যাতে কঠোরভাবে বিধি নিষেধ পালন করা হয়।" যদিও পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিক বিবেচনা করেই শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শীঘ্রই। এমন আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এমন আবহে আজ নবান্নে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের তৈরি গ্লোবল টিম ইতিমধ্যেই ৬৫টি বৈঠক করে ফেলেছে। আজ ছিল ৬৬তম বৈঠক। এদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নানা ধরনের কাজ হয়েছে। অক্সিজেনের জোগান, পাল্স অক্সিমিটার, অনেক লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে এই খবর পৌঁছে দিতে হবে যে, অক্সিজেন পাওয়া যাবে। ভয় না পেয়ে যখন প্রথমেই মনে হবে যে জ্বর হয়েছে বা কাশি হচ্ছে, চট করে দেখিয়ে নেওয়া। যাতে আগে আগে অসুখ শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন