ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে আদালত বলেছে,'যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করুন। এখনই সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে শূন্যপদগুলি তৈরি হলে সেখানে নিয়োগ করুন।
এই চাকরিপ্রার্থীরা কতদিন আর লড়াই করবে।' দিন শেষ হতে না হতেই বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ল বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এ দিন জানিয়েছেন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহে ৩১৭৯ শূন্যপদ তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এর পাশাপাশি ৩৯২৫ শূন্যপদ শীঘ্রই পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। অর্থাৎ ৭ হাজারের অধিক পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন রাজ্যে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষ সূত্রের খবর সবকিছু ঠিকঠাক চললে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করা এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থীদের বেছে নিয়ে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ৩১ দ্রুত ফলাফল প্রকাশ হতে চলেছে গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাইমারি টেট পরীক্ষারও। জানা গিয়েছে আসন্ন পুজোর পরেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল এই প্রাইমারি শিক্ষক পদে আবেদন করার জন্য শিক্ষা দফতরের তরফে আবেদনকারীদের ডিএলএড পাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাদের ডিএলএড নেই তাঁরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যারা বি এড পাশ করেছেন তাঁরাও এই প্রাইমারি শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগেই বি এড পাশ করা প্রার্থীদের প্রাইমারি শিক্ষক পদে আবেদন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে এই সাত হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এখনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই বিজ্ঞপ্তি সর্বপ্রথম পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন