আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও, যেটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তীসগঢ়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তা ছাড়া রাজ্যে এমনিতেই সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু। তার ফলে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বর্ষণ হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতা এবং দক্ষিণের জেলাগুলিতে। মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর থেকে বারাণসী, ডালটনগঞ্জ হয়ে পুরুলিয়া পর্যন্ত একটি মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বুধবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
এসএসসি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের চ্যালেঞ্জ আদালতে!
এবার এসএসসি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ। যে নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বেশকিছু প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থীদের ওনেকেই। গতকাল, সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের। তেমন কেউ ইতিমধ্যে আবেদন করলে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ফের নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। এই পরিস্থিতিতে এবার চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সেই বিষয়কে সামনে এনে মামলাকারীদের প্রশ্ন, যে নিয়োগটাই সঠিকভাবে হয়নি, তাহলে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ওই নম্বর কেন দেওয়া হবে? শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত নম্বরের ফলে অনেক প্রার্থীকে সমস্যায় পড়তে হবে বলেও দাবি। আদালতে জানানো হয়েছে, নিয়োগের বয়সসীমা নিয়ম বিভ্রান্তি রয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চ এই বিষয়ে কোনও বার্তা দেয়নি। এবার এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারীরা।
সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
হাইকোর্টে ফের বড় ধাক্কা SSC-র!
এদিন হাইকোর্টে ফের বড় ধাক্কা খেলো রাজ্য তথা স্কুল সার্ভিস কমিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এসএসসি যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তা বদল করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছিল সুপ্রিম নির্দেশে। এরপর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি বদল করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
গত ৩০ মে এসএসসি যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করে একযোগে ৯টি মামলা হয় আদালতে। আজ, সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। শুনানির শুরু থেকেই এদিন নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়ায় রাজ্য ও এসএসসি। কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, "সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি যে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।" শুধু তাই নয়, কল্যাণের বক্তব্য, যদি নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিতে পারেন, তাহলে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ব্যর্থ চাকরিপ্রার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন না।
এ কথা শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "কমিশনের কাছ থেকে এই ব্যাখ্যা প্রত্যাশিত নয়।" অযোগ্য বলে যাঁরা চিহ্নিত হননি তাঁদের চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কল্যাণের বক্তব্য, নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যদের গোটা প্রক্রিয়া থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, এমনটা নয়। বিচারপতি বলেন, "এতবড় দুর্নীতির অভিযোগ! টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও এটা বলবেন?"
এরপর আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অযোগ্যদের পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমার মধ্যেই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আইনজীবী কল্যাণ বলেন, 'কতবার তারা ফল ভুগবে, সাজা পাবে? 'বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, "তারা প্রতারণা করে চাকরি পেয়েছে তাই তারা বাদ যাবে।"
এবার কসবার ঘটনায় হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের!
অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বললেন,'আইন সকলের ঊর্ধ্বে।'
কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ডে প্রতিনিয়ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য তথা রাজনীতি। এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল। তবে, চলমান পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে নজরে রাখছেন। এর পাশাপাশি, এই বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন বলেও জানালেন রাজ্যপাল।
আইন কলেজে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'কলেজ প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত দায়িত্ব হল শিক্ষার মন্দিরের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তা যেন সমাজবিরোধীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।'
ডাক্তারি করতে পারবেন শান্তনু!
অবশেষে স্বস্তি পেলেন চিকিৎসক শান্তনু সেন। তাঁর ডাক্তারি করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। দু-বছরের জন্য তাঁর যে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছিল, সেই নির্দেশ এবার বাতিল হয়ে গেল। রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিকিৎসক-তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। আজ, সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শান্তনুর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় গত সপ্তাহে। কাউন্সিলের বক্তব্য ছিল, শান্তনু এমন একটি বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করছেন যা অবৈধ। ভারতে সেই ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি বলেও দাবি করা হয় কাউন্সিলের তরফে। এদিকে, শান্তনুর বক্তব্য ছিল, তিনি রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি।সোমবার কাউন্সিলের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি বলেন, 'কী কারণে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হচ্ছে, সেটা জানানো প্রয়োজন ছিল।' এটি একটি 'নন স্পিকিং' 'ক্রিপটিক' অর্ডার বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ, মেডিক্যাল কাউন্সিল এই বিষয়ে তদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট শান্তনু সেনকে পাঠাবেন এবং তাঁর বক্তব্য শুনবেন।
কুকীর্তির পর কাকে ফোন করেছিল মনোজিৎ?
মহারাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলের কাছে হঠাৎই ভেসে এল রহস্যজনক এক নৌকা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নৌকাটি অন্য কোনও দেশ থেকে এসেছে। তবে কোন দেশ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রবিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার রেভদণ্ড
কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর, গত ২৫ জুন ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর কলেজের নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরে বসেই মদ্যপান করে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সঙ্গী জইব আহমেদ ও প্রমীত মুখোপাধ্যায়। এর সঙ্গে, মদ্যপানের পর ই এম বাইপাসের একটি ধাবায় গিয়ে খাওয়াদাওয়াও সারে ওই তিন জন। এর পর যে যার বাড়িতে চলে যায় তিন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, 'ঘটনার পর গার্ড রুমে বসেই মদ্যপান করে তিন জন। এর পর নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাউকে কিছু না বলার জন্য শাসিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায় তারা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছ, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ঘটনার পরের দিন ২৬ জুন দক্ষিণ কলকাতায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ফোনে যোগাযোগ করে মনোজিৎ। যদিও পরিস্থিতি আঁচ করে সেই প্রভাবশালী মনোজিতকে সাহায্য করতে রাজি হননি। এর পর নিজের আরও কয়েকজন পরিচিত প্রভাবশালীর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চালায় মনোজিৎ। ঘটনার পরের দিন সকাল থেকে রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, ফার্ন রোড, বালিগঞ্জ স্টেশন রোড চত্বরেও প্রায় সারাদিন ঘোরাঘুরি করে মনোজিৎ। একবার সে কড়েয়া থানার কাছেও যায়। মনোজিতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের আরও দাবি, ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে মনোজিৎ, জইব এবং প্রমীথের মধ্যে ফোনে ঘনঘন কথা হয়েছে। যা থেকে তদন্তকারীরা এক রকম নিশ্চিত, ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত।
মহারাষ্ট্রের উপকূলের কাছে ভেসে এল ভিনদেশি রহস্যজনক নৌকা!
উপকূলের কাছে হঠাৎই দেখতে পাওয়া যায় নৌকাটিকে। উপকূলরক্ষী বাহিনী খতিয়ে দেখে জানায়, রেভদণ্ডের অনতিদূরে থাকা কোরলাই উপকূল থেকে দুই নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে নৌকাটি। রহস্যজনক নৌকার খবর পেয়েই সতর্ক হয় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। দ্রুত উপকূল এলাকায় পৌঁছোয় পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যেরা। তবে ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে নৌকাটির কাছে পৌঁছোনো সম্ভব হয়নি। রবিবার রায়গড়ের পুলিশ সুপার আঁচল দালাল নিজে সমুদ্রে ভাসতে থাকা নৌকাটির কাছে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কিছুটা গিয়েই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। মনে করা হচ্ছে, ওই নৌকাটিতে কেউ নেই। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেটি কোনও ভাবে ভারতের জলসীমানায় ঢুকে পড়ে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন।